মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আসসালামু আলাইকুম। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের রেখে যাওয়া দুটি শ্রেষ্ঠ উপহার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ আর আপনি নিজেই।জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা দেখব এই আশা নিয়ে আজকে আপনার কাছে খোলা চিঠির অবতারণা করলাম।জানিনা আপনার দৃষ্টিগোচর হয় কিনা।মাননীয় নেত্রী আপনি ১৭ কোটি বাঙ্গালির অভিভাবক।
এই ১৭ কোটি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব ও মহান প্রতিপালক আপনার হাতেই ন্যস্ত করেছেন।আমাদের আশা-ভরসার শেষ অাশ্রয়স্থল ও আপনিই। একমাত্র আপনিই।দ্বিতীয়জন কেউ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি ২৫০০০০ হাজার সুশিক্ষিত মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভদের করুন আর্তনাদ শোনার জন্য আপনার কাছে এই চিঠির অবতারণা করলাম। মাননীয় নেত্রী আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক উচ্চশিক্ষিত পেশাজীবিদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস্ রিপ্রেজেনটেটিভ এসোসিয়েশনের সদস্য।এই সেক্টরটি গুরুত্ব বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশে অপরিসীম। স্বাস্থ্যখাতে ও আমাদের অবদান অপরিসীম ও কল্পনাতীত। প্রিয় অভিভাবক আমাদের কাজ হচ্ছে আমরা ওষুধ সংক্রান্ত যাবতীয় নতুন নতুন তথ্য ডাক্তারদের কাছে শেয়ার করি।
একটা ওষুধের মানবদেহে কি কাজ করে বা ঐ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি তা সম্মানিত ডাক্তারদেরকে জানাই এবং তার ওপর ভিত্তি করেই ডাক্তারগণ চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।আমরাই বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করি।আজকে পল্লীচিকিৎসকদের চিকিৎসা সেবার অামুল পরিবর্তন আমাদের হাত ধরেই।তাদেরকে যুগোপযোগী চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিমাসে আমরা বিভিন্ন সভা,সেমিনার করে নিত্যনতুন চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত করি। মাননীয় নেত্রী প্রতি মাসে বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানি গুলোর বিক্রয়ের পরিমান তিন হাজার কোটি টাকা। যার থেকে সরকার প্রতি মাসে ১৭.৪% ভ্যাট পায়।

আর আমরা ২,৫০,০০০ রিপ্রেজেনটেটিভ সরকারকে ইনকাম ট্যাক্স ও প্রদান করি।সরকারের এই বিশাল অায়ের উৎস এই ২৫০০০০ সুশিক্ষিত রিপ্রেজেনটেটিভরাই। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কেন জানি আমরা বরাবরই চরম উপেক্ষিতই থেকে গেলাম রাষ্ট্রের কাছে।রাষ্ট্র আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কোন ভূমিকাই পালন করছেনা। মাননীয় নেত্রী আমরা কেন্দ্রীয় ফারিয়ার (PHAREA – PHARMACEUTICAL REPRESENTATIVES ASSOCIATION) পক্ষ থেকে সারা বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা আপনার কাছে সম্মানিত UNO স্যারদের মাধ্যমে আমাদের অধিকার আদায়ে ৫ দফা দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছি কয়েকবার। আপনার হস্তগত হয়েছে কিনা জানিনা।কিন্তু কোন এক অদৃশ্যশক্তির কাছে আমরা ঠেকে যাচ্ছি বারবার। মাননীয় নেত্রী আমাদের দাবীগুলো নিম্নরূপ- ১।আমাদের সংগঠনকে(PHARMACEUTICAL REPRESENTATIVES ASSOCIATION) স্বীকৃতি প্রদান। ২।চাকুরীর নিশ্চয়তা প্রদান ৩।জাতীয় ওষুধ নীতি প্রনয়ন ৪।সাপ্তাহিক ও জাতীয় ছুটি পালনের অধিকার ৫।বেতন ভাতার বৈষম্য নিরসন তথা ৭ম গ্রেডে বেতন নির্ধারন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা দীর্ঘদিন যাবত সুশৃঙ্খলভাবে বিভিন্ন সভাসমাবেশ, মানববন্ধন করে সরকার বাহাদুরের দৃষ্টিআকর্ষণ করতে চেষ্টা করেছি।কিন্তু কোন ফলাফল আমরা পাইনি।আমরা এখনো আপনার সদয় দৃষ্টির অপেক্ষায় আছি।আমরা চাইনা কোন প্রকার অবরোধ করে রাষ্ট্রের কোনোপ্রকার ক্ষতি করতে।আমরা অবরোধে গেলে অনেক মানুষ ওষুধ না খেয়ে মরবে।আমরা শিক্ষিত জনগোষ্ঠী চাইনা আমাদের দ্বারা মালিকপক্ষ বা সাধারন মানুষের সামান্যতম ক্ষতি হোক।আমাদের দাবীগুলো পূর্ণ হলে ২৫০০০০ মানুষ তাদের বাঁচার অধিকারটুকু পাবে।রাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালনে সফল হবে।
আড়াই লক্ষ পরিবারের ১ কোটি মানুষ স্বস্তিতে বাঁচার অধিকার ফিরে পাবে। মাননীয় নেত্রী এই ১ কোটি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আরেকটা মানবতার নিদর্শন স্হাপন করতে আপনার নিকট প্রার্থনা রইল।আমরা রোহিঙ্গা নই আপনারই ভাই বোন। জতির পিতা কিন্তু মানুষের অধিকার আদায়ের জন্যই নিজের জীবনটাকে উৎসর্গ করে দিয়ে গেছেন।তিনি বলেছেন, “যদি তোমরা সংখায় একজনও হও আর যদি নাজ্য কথা বল তাহলে আমরা সেটা মেনে নেব”।সেই যুদ্ধটা এখন আপনাকে,আমাদেরকে সবাইকে করতে হচ্ছে। মাননীয় নেত্রী আমরা ১৪ ঘন্টা ডিউটি করি। আমরা কোন সাপ্তাহিক ও জাতীয় ছুটি ভোগ করতে পারিনা। ১লা মে মাসেও আমাদের কাজের জন্য বলা হয়। আমাদের চাকুরির ও কোন কোর বিধিবিধান নেই। আমাদের চাকুরিরও কোন নিশ্চয়তা নেই যখন তখন কথয় কথায় চাকুরীর হুমকি, টার মিশনে ও ছাটাই করা হয়।
আমাদের নিদৃষ্ট ও স্টেন্ডার বেতন নেই। মনগড়া বেতন দরা হয়,অথচ বহিঃবিশ্বে আমদের কোম্পানিগুলো দেখায় আমরা GMP ,UKA, AJA, USFDA,MRSA ইত্যাদ ইত্যাদি দেশের গন্ডিপেরিয়ে ইউরোপ, আমেরিকায় রপ্তানি করছে অথচ মাঠ পযায়ের কোয়ালিফাই প্রতিনিধিদের(Representatives ষ্টান্ডার ফেসিলিটি নিশ্চিত নয়। অথচ বহিঃ বিশ্বে এই সেক্টরের Filed Force/প্রতিনিধীদের চিএ ভিন্ন। অথচ এখানে আমাদের বিক্রয় লক্ষমাত্রা আকাশচুম্বী,যার কোন বাস্তবভিত্তি নেই। প্রিয় অভিভাবক দেশের ক্রান্তিলগ্নে আমরা আপনার সম্মুখযোদ্ধা হিসাবে এখনো মাঠে আছি নিরবিচ্ছিন্ন ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে,আমরা আছি ডাক্তার ফ্রন্টে।কিন্তু আমাদের ঝুঁকি নিরাময়ে নেয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ, দেয়নি কোন ঝুঁকি ভাতা,দেয়নি কোন পিপিই,আমরা আপনার প্রনোদনার কোন অংশ পাব কিনা তাও অনিশ্চিত। এই নাগরিক অধিকার বঞ্চিত অসহায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে আপনার নিজগুনে অধিকার ফিরে পেতে সাহায্য করুন।এককোটি মানুষের বাঁচার অধিকার আদায়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনে আপনাকে অগ্রনেতা হিসাবে পেতে আমাদের একান্ত প্রার্থনা।
বিনীত নিবেদকঃ মোঃ আবদুল্লাহ,
দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ফারিয়া।